Jukti Takko: 'কী ঘটল কাশ্মীরে ? ২২ তারিখ। সেই দিন প্রায় ২৬ জন মানুষকে, তাঁদের ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে, কখনও আই কার্ডের ভিত্তিতে, প্রয়োজনে ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন করে, তাঁদের মৃত্যুমুখে পাঠানো হল। তার আগের দিন ২১ তারিখ, আমি প্রায় ৫ ঘণ্টা মুর্শিদাবাদ জেলায়, ৩৮ ডিগ্রি টেম্পারেচারের মধ্যে বাড়িতে বাড়িতে ঘুরেছি। একই দৃশ্য দেখেছি চন্দন দাসের বাড়ি, হর গোবন্দ দাসের বাড়িতে। বা সেই সময় যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁদের বাড়ি গিয়ে গিয়ে দেখেছি। যে শুধুমাত্র হিন্দু হওয়ার জন্য তাঁদের উপর আক্রমণ হয়েছে। তাঁদের মন্দির ভাঙা হয়েছে। ভাঙা শিবলিঙ্গ মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে আমি আমার সঙ্গে নিয়ে এসেছি। প্রয়োজনে, কোনও একদিন সুযোগ পেলে মুখ্যমন্ত্রীকে তা উপহারও দেব, সেই মনষ্কামনা আমার আছে, সেই মনবাসনাও আমার আছে। তবু আমাদেরকে শুনতে হয়, সন্ত্রাসের কোনও ধর্ম হয় না। মুর্শিদাবাদ এবং কাশ্মীর এই দুটিই যেনও কোন ক্ষেত্রে একাকার হয়ে যাচ্ছে। মুর্শিদাবাদে শুনতে হয়েছে, 'শাঁখা সিঁদূর পরেছিস কেন ? খুলে ফেল। আমাদের সঙ্গে চল, তোদের স্বামীদের কুচিকুচি করে গঙ্গায় ভাসিয়ে দিচ্ছি। ইসলাম গ্রহণ কর। রেহাই পাবি।' এটা মুর্শিদাবাদে শুনতে হয়েছে। কাশ্মীরেও শুনতে হয়েছে, রুদ্রাক্ষের মালা কেন পরছেন, কোরাণ পড়ুন, তাহলে মুক্তি পাবেন।' এবিপি আনন্দের যুক্তি-তক্কো অনুষ্ঠানে এসে আর কী বললেন সুকান্ত মজুমদার?