হ্যাঁ, সাধারণভাবে কনজাংটিভাইটিস-কেই চোখ উঠা বলা হয়। এটি একটি চোখের সংক্রমণ, যা ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, অ্যালার্জি বা ধুলাবালির কারণে হতে পারে। এটি সংক্রামকও হতে পারে, তাই সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
চোখ উঠা (কনজাংটিভাইটিস) এর চিকিৎসা ও প্রতিকার
চোখ উঠা বা **কনজাংটিভাইটিস** সাধারণত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা অ্যালার্জির কারণে হয়ে থাকে। সঠিক চিকিৎসা নির্ভর করে এর কারণের উপর।
১. ঘরোয়া প্রতিকার**
✅ **পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন** – চোখে হাত না দেওয়া ও চোখ পরিষ্কার রাখা জরুরি।
✅ **কোল্ড কমপ্রেস বা ঠান্ডা পানি ব্যবহার করুন** – এটি চুলকানি ও ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
✅ **গরম পানির সেঁক (ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের ক্ষেত্রে)** – এটি চোখের ব্যথা ও পুঁজ কমাতে সাহায্য করে।
✅ **গোলাপজল বা বিশুদ্ধ পানি দিয়ে চোখ ধুতে পারেন** – আরামদায়ক হতে পারে।
**২. ওষুধ ও চিকিৎসা**
🔹 **ভাইরাল কনজাংটিভাইটিস (সাধারণ চোখ উঠা)**
✔️ সাধারণত **নিজে থেকেই সেরে যায়** (৭-১০ দিনের মধ্যে)।
✔️ কোল্ড কমপ্রেস ব্যবহার করা যেতে পারে।
✔️ চিকিৎসকের পরামর্শে কিছু ক্ষেত্রে **লুব্রিকেন্ট আই ড্রপ (Refresh Tears, CMC Eye Drop)** ব্যবহার করা যেতে পারে।
🔹 **ব্যাকটেরিয়াল কনজাংটিভাইটিস** (যদি চোখ থেকে পুঁজ বের হয়)
✔️ **এন্টিবায়োটিক আই ড্রপ** (Moxifloxacin Eye Drops, Ciprofloxacin Eye Drops) চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যবহার করতে হবে।
✔️ **এন্টিবায়োটিক মলম** (Erythromycin Eye Ointment) রাতে চোখে লাগানো যেতে পারে।
🔹 **অ্যালার্জিজনিত কনজাংটিভাইটিস**
✔️ **অ্যান্টিহিস্টামিন আই ড্রপ** (Olopatadine Eye Drops, Ketotifen Eye Drops) চিকিৎসকের পরামর্শে নিতে হবে।
✔️ অ্যালার্জির কারণ এড়িয়ে চলতে হবে।
### **৩. কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?**
❗ **যদি ৭-১০ দিনের মধ্যে ভালো না হয়।**
❗ **চোখে প্রচণ্ড ব্যথা, লালচে ভাব বেশি হয় বা দৃষ্টি ঝাপসা হয়।**
❗ **চোখ থেকে বেশি পুঁজ বা হলুদাভ তরল বের হতে থাকে।**
সাধারণত, **ভাইরাল কনজাংটিভাইটিস** নিজে থেকেই সেরে যায়, তবে ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের ক্ষেত্রে **এন্টিবায়োটিক প্রয়োজন হতে পারে**। তাই উপসর্গ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।