একরামুল হত্যাঃ ফেসে যাচ্ছে ইনডিপেন্ডেন্ট ও যমুনা টেলিভিশনের রিপোর্ট দেখুন একরামের জীবন কেমন ছিল
২০১০ সালে কক্সবাজারের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের একটি তালিকা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গোয়েন্দা বাহিনীর এক কর্মকর্তার সঙ্গে ঝামেলা হওয়ায় ওই তালিকায় একরামুলের নাম ওঠে বলে দাবি করেন তার স্ত্রী আয়েশা বেগম। পরবর্তী সময়ে পুলিশের তদন্তে একরামুলের ইয়াবা ব্যবসার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং হালনাগাদ তালিকা থেকে তার নাম বাদ পড়ে বলে জানান টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রণজিৎ বড়ুয়া। ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে থানায় কোনো রেকর্ড নেই বলেও জানান তিনি।
২০১২ সালের আগস্টে ইয়াবা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রচার করে ইনডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের অনুসন্ধানমূলক অনুষ্ঠান ‘তালাশ’। ওই প্রতিবেদনে ‘ইয়াবা গডফাদার’ হিসেবে ছয়জনের নাম, ছবি ও সম্পদের পরিমাণ প্রকাশ করা হয়। তাদের মধ্যে ছয় নম্বরে ছিল একরামুল হকের নাম ও ছবি। তাতে দাবি করা হয়, একরামুলের দুটি গাড়ি, টেকনাফে দুটি বাড়ি, চট্টগ্রামে একটি বাড়ি ও ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
কিন্তু এই সম্পদের তালিকার সূত্র দেওয়া হয়নি। দুই বছর পর ইয়াবা নিয়ে আরেকটি প্রতিবেদন প্রচার করা হয় যমুনা টেলিভিশনের ‘৩৬০ ডিগ্রি’ অনুষ্ঠানে। তাতেও একরামুলকে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বলে দাবি করা হয়।একরামুল হক নিহত হওয়ার পর সংবাদ দুটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। অনুসন্ধানী ওই প্রতিবেদনে কী অনুসন্ধান করা হয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।একরামুল হক যে বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকেন, সেটি দোতলা এবং তার অর্ধেকের কাজও শেষ হয়নি। টাকার কারণেই কাজ শেষ করতে পারেননি বলে দাবি করেন তার ভাই এহতেশামুল হক। তিনি জানান, তার ভাই কষ্টে জীবনযাপন করেছেন। বাড়ির এখনো বেশির ভাগ কাজই শেষ করতে পারেননি। টাকা থাকলে এসব এভাবে পড়ে থাকত না।
রাজনীতির সব খবর সবার আগে পেতে চ্যানেলটিতে সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটনে ক্লিক করুন
This channel always publish political news of bangladesh. Everyday and every moment we try to cover latest bangla news basically bd political news
thank for watching