কাজেই! হে কুরআন প্রতিষ্ঠার জন্য জীবনবাজি রাখা লোকেরা! হে মুহাম্মাদ (ﷺ) এর শরীয়তের মাতালেরা! নিজেদের সন্তানদেরও এই রাস্তায় ঘরছাড়া করা লোকেরা, পরীক্ষা লম্বা হয়ে যাওয়া যেন তোমাদের নিরাশ না করে, শরীয়তের শত্রুদের তর্জন গর্জন যেন উদ্বিগ্ন না করে ... বিশ্বাস রাখ...! পরিবেশ যতই প্রতিকূল হোক না কেন, পারিপার্শ্বিক অবস্থা গাযওয়ায়ে খন্দকের মত হোক না কেন, মনে রেখ আল্লাহর ওয়াদা – তাঁর শরীয়তকে বিজয়ী করার জন্য যে লড়াই করবে, যে তাঁর কালেমাকে বিজয়ী করার জন্য যে লড়াই করবে, আল্লাহ তাকে অবশ্যই সাহায্য করবেন। আপনারা কি দেখেন নি, যে আমেরিকার গোলামী করতে করতে শরীয়তের শত্রু সেনাবাহিনী ওয়াজিরিস্তান পর্যন্ত পৌঁছেছিল, আজ সেই আমেরিকার কি অবস্থা হতে চলেছে, চরিত্র ও সম্মানের ধারক ও বাহক আমেরিকার চারিত্রিক অবস্থার লাশ দুনিয়া এই নির্বাচনে বের হয়ে আসতে দেখেছে এবং এ তো শুরু, অচিরেই আপনাদের রবের সাহায্য ও নুসরতের ধরণ দেখতে থাকুন। আমেরিকা শুধু আফগানিস্তান থেকে পালাচ্ছে এমনটি নয়, বরং ইনশাআল্লাহ সিরিয়ায় মুসলিম উম্মতের সন্তানদের আঘাতে আমেরিকা দুনিয়ার নেতৃত্ব ছেড়ে দিয়ে শীঘ্রই পালিয়ে যাবে। “সবার আগে আমেরিকা” এই শ্লোগান তো এই ধারাবাহিকতার প্রথম কিস্তি; আর যদি আল্লাহ একে পুরোপুরি পাকড়াও করার ফয়সালা করে থাকেন তো আমেরিকা শুধু বিশ্বের নেতৃত্ব থেকেই পালাবেনা বরং আমেরিকার নিজের অস্তিত্বও দুনিয়ার মানচিত্রে এমনভাবে চোখে পড়বেনা যেমনটা আজ চোখে পড়ে। USA। অর্থাৎ অধিকৃত সংযুক্ত রাষ্ট্রগুলোর চেহারায় একটি দেশ উত্তর আমেরিকার মানচিত্রে দেখা যাচ্ছে। এসব অধিকৃত রাষ্ট্রগুলোও একে ছেড়ে পালিয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ। এই সেই আমেরিকা, যে ইসলামী ইমারতের উপর হামলা করার জন্য এসেছিল এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনী এর কাঁধের সাথে কাঁধ মিলিয়ে মুসলমানদেরকে হত্যা করা নিজেদের জন্য হালাল করে নিয়েছিল; ঐ সময় ইসলামের বিরুদ্ধে লোকদের কথা কতটা ধারালো ছিল! এখন তালেবানের ইসলামের কি হবে, এখন তাদের জিহাদের কি হবে, জিহাদের কি লাভ হল, আমেরিকার সাথে সংঘাতে লিপ্ত হওয়া কোন শরীয়তে জায়েজ? কিন্তু যাদের আল্লাহর ওয়াদার উপর দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, তারা ঐ সময়েও বাগরামের যুদ্ধ ময়দানে যুদ্ধ বিমানের বোমাবর্ষণের মাঝে দৃঢ় থেকে এই শ্লোগান দিচ্ছিল ھذا ما وعدنا اللہ ورسولہ, এটা ঐ যা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল আমাদের সাথে প্রতিশ্রুতি করেছিলেন, তারা ঐ সময়েও বলছিল যে, আমেরিকা আত্মাহুতি দেওয়ার জন্য আফগানিস্তানে এসেছে। এসব আল্লাহর সাহায্য এবং এই উম্মতে মুহাম্মাদী (ﷺ) এর জিহাদের উপর দৃঢ়তার সাথে দাঁড়িয়ে থাকার ফল। সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধেও আল্লাহ এই জিহাদের কারামাত দুনিয়াকে দেখিয়েছেন কিন্তু মিথ্যাচার ও প্রতারণার গণতান্ত্রিক বিশ্ব একে আমেরিকার সাহায্য হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছে এবং উম্মতকে জিহাদ থেকে ফিরিয়ে রাখতে চেয়েছে, কিন্তু এই আমেরিকার অপমানজনক পরাজয় কিভাবে হল? জীবিকা বিলি বন্টন করার দাবিদার আমেরিকা নিজে আজ কেন দারিদ্র্য ও দেউলিয়ায় জর্জরিত হয়ে কাঁদছে। জীবন ও মৃত্যুর বন্টন করার দাবিদার আমেরিকা আজ নিজের প্রতিরক্ষা করতে অক্ষম হয়ে গেছে, এর কেন্দ্রীয় সেনা ছাউনি বাগরামেও মৃত্যু এর পিছু ছাড়েনি। অন্তরের ব্যাধিতে ব্যাধিগ্রস্তরা জিহাদের কারামতকে যদি এখনও মেনে না নেই, সে এটাই বলবে যে এটা চীনের সাহায্য, চীন আমেরিকাকে পরাজিত করেছে। তাই এদের অন্তর জ্বলছে আর জ্বলছে এবং আর এই দহন দেখেই হয় এদের অন্তর প্রশান্ত হবে নতুবা মুহাম্মাদ (ﷺ) এর উম্মতের অন্তর প্রশান্ত হবে।
হে আমার ভাইয়েরা!
এই রবের সত্ত্বার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখুন, শুধু এই এক সত্ত্বারই ইবাদত করুন, তাঁর সাথে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শরীক করবেন ন